শহরের হালকা বাতাসে সন্ধ্যার নরম আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিল। রিমা আলমারি খুলল, আর সেই লাল শাড়ি আলোর নিচে ঝলমল করল—মোলায়েম, নরম, একদম নিখুঁত। আজকের রাতটি আলাদা। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সে নতুন টিপও পরেছে—চোখের কোণে হালকা গ্লো, ঠোঁটের ওপর সোনালি লিপস্টিক। সবকিছুই যেন এক মিষ্টি উষ্ণতা এবং রোমান্সের আভা ছড়াচ্ছে।
অর্পণ দরজার ঘণ্টার আওয়াজে ঘরে প্রবেশ করল। রিমার চোখে এক অদ্ভুত আগ্রহ, যা লুকানো ছিল দিনভর। অর্পণের চোখ প্রথমে শাড়ির রঙের কাছে আটকে গেল, তারপর ধীরে ধীরে রিমার কোমল মুখমণ্ডলে ভেসে উঠল সেই উত্তেজনা।
“রিমা… আজ রাতটা শুধু আমাদের,” অর্পণ নরম স্বরে বলল, আর হাতে শাড়ির এক প্রান্ত ধরে শ্লথ ছোঁয়া দিল। রিমার হৃদয় হঠাৎ দ্রুত স্পন্দিত হতে লাগল। শাড়ির মোলায়েম স্পর্শ তার আঙুলে নরম লালিমা ছড়িয়ে দিল।
রিমা ধীরে ধীরে শাড়ি সামলাচ্ছিল, যেন এটি শুধু কাপড় নয়—একটি অনুভূতির প্রতীক। প্রতিটি ভাঁজ তার হাতের নিচে এক নতুন উত্তাপ তৈরি করছিল। অর্পণের চোখে সেই উত্তাপ দেখেই রোমাঞ্চ বর্ধিত হলো।
রাত বাড়ল। শাড়ির ছোঁয়া, অর্পণের নরম হাত, রিমার ধীর-ধীরে নড়াচড়া—সব মিলিয়ে একটি নরম, সেন্সুয়াল আবহ সৃষ্টি করল। শাড়ি শুধু পোশাক নয়, এটি তাদের আবেগের সেতু। প্রতিটি স্পর্শ তাদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি করছিল।
রিমা হঠাৎ শাড়ির এক প্রান্ত ছুঁয়ে অর্পণের হাতের সাথে মিলাল। চোখের চোখে তারা বোঝাল—এই রাত, এই মুহূর্ত, একমাত্র তাদের। শাড়ি ধীরে ধীরে রিমার শরীরের সঙ্গে মিলছে, তার কোমল স্পর্শ অর্পণের মনকে জ্বালাচ্ছিল এক অনন্য উত্তাপে।
“রিমা… তুমি জানো, এই শাড়ি শুধু লাল নয়, আমাদের আবেগের প্রতীক,” অর্পণ বলল। রিমা হেসে মাথা নাড়া দিল। প্রতিটি ভাঁজ, প্রতিটি নরম স্পর্শ, প্রতিটি দম—সবই এক উত্তপ্ত রোমান্সে পরিণত হলো।
রাত্রি গভীর হলো। শাড়ি, চোখ, হাত, স্পর্শ—সব মিলিয়ে তাদের আবেগের গল্পকে চিরস্থায়ী করে দিল। রিমা জানল, এই শাড়ি তার হৃদয়ে চিরকাল থাকবে। অর্পণও বুঝল, শাড়ি শুধু কাপড় নয়, এটি তাদের আবেগ, কামনা, এবং রোমান্সের কেন্দ্রবিন্দু।
সকাল হয়ে এলো, কিন্তু রাতের উত্তাপ, শাড়ির ছোঁয়া, অর্পণ ও রিমার মধ্যে গোপন খেলা—সবই তাদের মনে স্থায়ী হয়ে রইল। শাড়ি আলমারিতে রাখা, কিন্তু এর স্মৃতি তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে চিরকাল বাঁচবে।